সিরিয়ার আকাশে নিষিদ্ধ হলো ইরানের বিমান

Daily Inqilab ইনকিলাব ডেস্ক

২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৪ এএম | আপডেট: ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৪১ এএম

সিরিয়ার নতুন সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, দেশটির আকাশপথে ইরানের সামরিক কিংবা বেসামরিক কোনো ধরনের বিমান চলাচল করতে পারবে না। রোববার ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম ওয়াল্লার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

 

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, এই সিদ্ধান্ত হিজবুল্লাহর সামরিক সক্ষমতা পুনর্গঠনকে উল্লেখযোগ্যভাবে বাধাগ্রস্ত করবে।

 

সিরিয়ার কার্যত নতুন নেতা আহমেদ আল-শারআ সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ইরানের আঞ্চলিক প্রভাব প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের পর থেকে অনেকটা কমে গেছে।

 

শারআ সুন্নি ইসলামপন্থী বিদ্রোহী গ্রুপ হায়াত আল-তাহরির শামের (এইচটিএস) প্রধান। তাঁর নেতৃত্বেই চলতি মাসের শুরুর দিকে এক আকস্মিক হামলায় দ্রুততম সময়ের মধ্যে আসাদ সরকারের পতন ঘটে।

 

আশারাক আল-আওসাতকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শারআ বলেন- সিরিয়ার বিদ্রোহীরা ইরানের আঞ্চলিক প্রকল্পকে ৪০ বছর পিছিয়ে দিয়েছে। এটি ইরানের প্রতি সিরিয়ার অবস্থানে একটি বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত।

 

তিনি আরও বলেন, ‘ইরানি মিলিশিয়াদের সরিয়ে এবং সিরিয়াকে ইরানি প্রভাব থেকে মুক্ত করে আমরা আঞ্চলিক স্বার্থ রক্ষা করেছি- যা কূটনীতি বা বিদেশি চাপেও সম্ভব হয়নি। এতে আমাদের ক্ষয়-ক্ষতিও ছিল ন্যূনতম।’

 

আসাদের শাসনকালে সিরিয়ার মাধ্যমে লেবাননের হিজবুল্লাহর কাছে অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম পাচার করত ইরান। হিজবুল্লাহর নতুন মহাসচিব নাইম কাসেম স্বীকার করেছেন, সিরিয়ার মাধ্যমে তাদের সরবরাহ পথ এখন পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে।


বিভাগ : আন্তর্জাতিক


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

বাংলাদেশ নিয়ে কটুক্তি করা বিজেপি নেতা শুভেন্দুকে জুতাপেটা
মার্কিন সিইও হত্যাকাণ্ড, সামাজিক মাধ্যমে ভুল তথ্যের বিপজ্জনক প্রভাব
আফগানিস্তানে ফের দূতাবাস চালু করছে সৌদি
শুধু মুর্শিদাবাদ-মালদহ নয়, শিলিগুড়িও লক্ষ্যবস্তু
আসাদের পতন, নিজের বেঁচে থাকার গল্প বললেন এক সিরিয়ান শরণার্থী
আরও

আরও পড়ুন

নাটোরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় চালকসহ এক বুদ্ধি প্রতিবন্ধী নিহত

নাটোরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় চালকসহ এক বুদ্ধি প্রতিবন্ধী নিহত

এবার সাদপন্থিদের ১০ দফা দাবি

এবার সাদপন্থিদের ১০ দফা দাবি

সা'দ পন্থীদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও আশুলিয়া থানায় স্মারক লিপি প্রদান

সা'দ পন্থীদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও আশুলিয়া থানায় স্মারক লিপি প্রদান

লক্ষ্মীপুরে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু

লক্ষ্মীপুরে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু

বাংলাদেশ নিয়ে কটুক্তি করা বিজেপি নেতা শুভেন্দুকে জুতাপেটা

বাংলাদেশ নিয়ে কটুক্তি করা বিজেপি নেতা শুভেন্দুকে জুতাপেটা

সিকদার গ্রুপের ১৫ প্রতিষ্ঠানের সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ

সিকদার গ্রুপের ১৫ প্রতিষ্ঠানের সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ

শীতের তীব্রতায় বাড়ছে ডায়রিয়ার প্রকোপ,বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা

শীতের তীব্রতায় বাড়ছে ডায়রিয়ার প্রকোপ,বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা

চিরিরবন্দরে আগাম জাতের আলুর ভালো ফলন ও দাম পেয়ে কৃষকেরা খুশি

চিরিরবন্দরে আগাম জাতের আলুর ভালো ফলন ও দাম পেয়ে কৃষকেরা খুশি

‘রেমিট্যান্স এ্যাওয়ার্ড-২০২৪’ পেল হংকংয়ে বসবাসরত ১০ বাংলাদেশি নারী

‘রেমিট্যান্স এ্যাওয়ার্ড-২০২৪’ পেল হংকংয়ে বসবাসরত ১০ বাংলাদেশি নারী

বিডিআর বিদ্রোহ : ঘটনা তদন্তে সাত সদস্যের কমিশন গঠন

বিডিআর বিদ্রোহ : ঘটনা তদন্তে সাত সদস্যের কমিশন গঠন

মার্কিন সিইও হত্যাকাণ্ড, সামাজিক মাধ্যমে ভুল তথ্যের বিপজ্জনক প্রভাব

মার্কিন সিইও হত্যাকাণ্ড, সামাজিক মাধ্যমে ভুল তথ্যের বিপজ্জনক প্রভাব

গাজীপুরে কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ

গাজীপুরে কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ

ঝিনাইদহে বেসিক জার্নালিজম বিষয়ক প্রশিক্ষণ শেষে সনদ বিতরণ

ঝিনাইদহে বেসিক জার্নালিজম বিষয়ক প্রশিক্ষণ শেষে সনদ বিতরণ

বছরখানেক সময় পেলে সংস্কার কাজগুলো করে যাব : উপদেষ্টা আসিফ নজরুল

বছরখানেক সময় পেলে সংস্কার কাজগুলো করে যাব : উপদেষ্টা আসিফ নজরুল

সান্ধ্য আইন বাতিলের দাবি ইবি ছাত্র ইউনিয়নে

সান্ধ্য আইন বাতিলের দাবি ইবি ছাত্র ইউনিয়নে

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আওয়ামী সরকারের পুনরাবৃত্তি করবে না আশাবাদ রিজভীর

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আওয়ামী সরকারের পুনরাবৃত্তি করবে না আশাবাদ রিজভীর

আফগানিস্তানে ফের দূতাবাস চালু করছে সৌদি

আফগানিস্তানে ফের দূতাবাস চালু করছে সৌদি

হাজারো বিঘা জমিতে পুকুর খনন: ছোট হয়ে যাচ্ছে সালথা-নগরকান্দার মানচিত্র!

হাজারো বিঘা জমিতে পুকুর খনন: ছোট হয়ে যাচ্ছে সালথা-নগরকান্দার মানচিত্র!

প্রতিবাদ সমাবেশ ও স্মারকলিপি প্রদান, সাদপন্থীদের নিষিদ্ধের দাবি

প্রতিবাদ সমাবেশ ও স্মারকলিপি প্রদান, সাদপন্থীদের নিষিদ্ধের দাবি

শুধু মুর্শিদাবাদ-মালদহ নয়, শিলিগুড়িও লক্ষ্যবস্তু

শুধু মুর্শিদাবাদ-মালদহ নয়, শিলিগুড়িও লক্ষ্যবস্তু